ভারতের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি পুনরায় নির্বাচিত হয়ে বেইজিংয়ের প্রভাব কমাতে তাদের চীন নীতিতে পরিবর্তন আনতে পারেন। নির্বাচনের সময়ে এমনটাই আভাস মিলেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইকোনোমিক টাইমস। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, চীনের বিআরআই প্রকল্পে কিছু সংস্কার আসতে পারে এবং নাগরিকদের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের কারণে চীনের সামগ্রিক প্রভাব হ্রাস করার চেষ্টা করা হতে পারে।
ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, বেসামরিক সরকারের এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করছে সামরিক বাহিনীও। প্রকল্পগুলোতে বেইজিংয়ের বরাদ্দ কমানোর পাশাপাশি সু চি ও সেনাবাহিনী মিয়ামারের শান্তি প্রক্রিয়ায় চীনের ভূমিকার ব্যাপারেও পুনর্বিবেচনা করছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মিয়ানমারের শান রাজ্যে চীনাদের সংখ্যা বাড়ছে। এই রাজ্যটি চীনের ইউনান প্রদেশের সীমান্তবর্তী। সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়, চীনের প্রভাবেই সেখানে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না মিয়ানমার। মান্ডালায় চীনের প্রভাব এখন মিয়ানমারের অন্যতম মাথাব্যাথার কারণ।
এ ছাড়া সু চি নেতৃত্বাধীন এনএলডিতেও চীনবিরোধী মনোভাব বাড়ছে। মিয়ানমারের এক সূত্র জানায়, শান ও রাখাইনের সশস্ত্র বিদ্রোহীদের ওপর চীনের সমর্থন খুব ভালো করেই জানেন সু চি। সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মিকে চীনের অর্থায়নের কারণেও অসন্তুষ্ট মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেলরা। এই গোষ্ঠী ভারতীয় প্রকল্প কালাদান মাল্টিমডেলও ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে।
মান্ডালেতে চীনা ও স্থানীয় বার্মিজদের মধ্যেও মাঝে মাঝে ক্ষোভ বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, মিয়ানমারের বুদ্ধিজীবীদের ধারণা মিয়ানামারে ভূখণ্ড বিস্তার করছে চীন এবং খুব শিগগিরই এটা নিয়ে সংঘাত শুরু হবে। ভারতের লাদাখ সে ক্ষেত্রে ভালো উদাহরণ হতে পারে।
চলতি মাসের শুরুর দিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা দেখাতে চাননি সু চিসহ অন্যান্য নেতারা। দেশটির এক সূত্রের দাবি, চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা সাধারণ মানুষ নেতিবাচকভাবে দেখে।
Leave a Reply